বিশ্বজিৎ অধিকারী

প্রতিটা মানুষের জীবনেই এমন একটা মানুষ দরকার যে তাকে খুব শাসন করবে, কেয়ার করবে, ভালোবাসবে৷ মাঝরাতে অনলাইনে দেখলে রাগী স্বরে বলবে “তুমি কি ঘুমোবে না আমি আইডি ডিয়েক্টিভ করে ফেলবো! পরে কিন্তু সারাদিন চেল্লালেও আইডি একটিভ করবো না! ব্যস্ত রাস্তা পার হওয়ার সময় সাবধানী স্বরে বলবে ” এ্যাইইইই, সাবধানে রাস্তা পার হ‌ও!

এমন একটা মানুষের ভীষণ দরকার যে কিনা হ্যালো শুনলেই বুঝে ফেলবে মন খারাপ, জিজ্ঞেস করবে কি হয়েছে বলো? কি কারণে মন খারাপ বলো৷ আমি মন ভালো করে দিবো!’

হুটহাট ছবি পাঠিয়ে বলবে “এ্যাইই দেখো তো আমাকে কেমন লাগছে! সুন্দর লাগছে না?’ মাঝে মধ্যে অভিমান করে বলবে ” আমি রাগ করেছি! রাগ ভাঙ্গাও।

এমন একটা মানুষের সত্যিই ভীষণ দরকার যে কিনা প্রচন্ড মন খারাপের সময় পাশে বসে ভরসা দিয়ে বলবে “চিন্তা করো না আমি আছি! সবসময় থাকবো!’

রাস্তায় হাত ধরে হাঁটতে হাঁটতে কাটিয়ে দেবে অনেকক্ষণ। তারপর হুট করে বাদাম দেখে চিৎকার করে আবদার করে বলবে এইইই, বাদাম খাবো৷ তাড়াতাড়ি বাদাম নাও৷ হুট করে একটা চা দোকান দেখে বলবে শোনো না, অনেকদিন চা খাই নি৷ পাঁচ টাকা দামের একটা চা নাও তো৷ একই কাপে দু’জন বিস্কুট ভিজিয়ে খাবো!

এমন একটা মানুষের ভীষণ প্রয়োজন যাকে কিনা বিনা সংকোচে নির্দ্বিধায় অনেক কিছু বলা যাবে৷ নিজের মন খারাপ, মন ভালোর কথা সারাদিন বকবক করে বললেও সামান্য বিরক্ত হবে না।

এমন একটা মানুষের দরকার যাকে কিনা ভীষণ মন খারাপের সময় বলা যাবে-
“এই শোনো! আমার মন খারাপ। তাড়াতাড়ি মন ভালো করে দাও৷ প্রতিটা মানুষের জীবনে এমন একটা মানুষের দরকার৷ ভীষণ দরকার!

সংগৃহিত

জ্ঞান জ্যোতি সাহিত্য পরিবার।

দৈনিক কবিতা প্রতিযোগিতা
বিভাগ–কবিতা
শিরোনাম–“”নিজে হেরেছি”””
কলমে–জয়া গোস্বামী
25/08/2021

নিজেকে আজ ভেঙেচুরে তৈরি করে নিয়েছি
শুধু মন পাবার জন্য নিজেকে সং সাজিয়েছি !!

ভালোবাসা অন্তর্লীন সেটা আগেই বুঝেগিয়েছি
পথ চলতে বার বার নিজেকে কেবল ঠকিয়েছি !!

মানুষকে আজও আপন ভেবেই নিজে হরেছি
তবু আজ ও মিছে স্বপ্ন শুধুই আবেগে দেখেছি!!

ভাঙাগড়ার খেলায় কেবল নিত্য হেরেছি
তাই দেখতে দেখতে চোখের জল মুছেছি!!

এই খেলায় আবার কখন ও সুখ খুঁজে পেয়েছি
সেই সুখে আবার নতুন করে বাঁচার রশদ নিয়েছি !!

এমন করে আসবে জীবন ভেবে যত্নে তুলে রেখেছি
আঁধরে বসে স্বপ্ন গুলো এক এক করে এঁকেছি !!

মিথ্যা খেলা আঁধারে বসে কেবল খেলেই চলেছি
সাঙ্গ করবো এবার শেষ কিনারায় এসে পৌচ্ছেছি !!

ভালোবাসা এবার তোমার কাছে নত হয়েছি
এবার ছন্দ পতন করবো নিজে আবার উঠেছি !!

ম্লান শিখায় শুধুই নিজেকে দগ্ধে মেরেছি
ঘুনপোকা তোমার বন্ধ দুয়ারে মাথা কুটেছি !!

ইতি কেবল টানি আজ ও মনের কাছে_ কে যেন ডাকে উদাস চিত্রে মন তাতেই হারিয়েছি কবির কবিতার মাঝে যেন মন মাতিয়ে রেখেছি

দৈনিক কবিতা প্রতিযোগিতাবিভাগ–কবিতাশিরোনাম–“”যদি চলে যাই হঠাৎ”””কলমে–জয়া গোস্বামী২১/০৮/২০২১যদি চলে যাই হঠাৎ করে রাঙা প্রভাতেআমার কণ্ঠের স্বর না পাও আর শুনতে__পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে যাদি যাই চলেশেষ উপহার সেদিন তোমাকে দেবো বলে!ভোরের বকুলের তলায় এসে খুঁজবে ভুলেসেদিনে ভিজবে শুধুই চোখের জলে!যদি থেমে যায় সেদিন আমার ভালোবাসাসেদিন করবে না জানি আমার আশা__অভিমানে দেখবে হাসছি শেষ লগ্নের হাসিসেদিন দূর হতে বাজাবে অন্তরযামি বাঁশিপৃথিবীর দৃশ্য দেখবো না আর অবাক হয়েহিমেল কুয়াশার চাঁদর গায়ে জড়িয়ে নিয়ে__থাকবো না আর ভালোবাসার অপেক্ষায়আঁকবো সেদিন গভীর ক্ষত যন্ত্রনায় !পাইনি এতটুকু ভালোবাসা পেলাম অবহেলাঅস্তমিত সূর্যের সাথে চলে যাবো গোধূলিবেলা__সেদিনে আকাশে তারার সাথে ভাব করবোএলোমেলো কথা সেদিন ওদের সাথে কইবো!স্মৃতির বিজন ঘরে থাকবো চোখের জলেশেষ মুহুর্তে নাইবা সেদিনে তুমি আর এলে__

বিভাগ —গদ্য কবিতা,

শিরোনাম —”মৃত্যু শীতল বুড়ি”

কলমে —সুমা আইচ হাজরা ।

এক সকালে তোমাকে দেখলাম মৃত্যু শীতল বুড়ি
অবগুন্ঠনে কালো আবরণে মুখ লুকিয়ে দাঁড়িয়ে,
আর অপেক্ষায় প্রহর গুনছো কখন নেবে ছিনিয়ে
প্রাণাধিক প্রিয় মানুষটাকে ইহলোকের মায়া ছাড়িয়ে।

তোমার অদৃশ্য উপস্থিতির ভয়ংকর অজানা শিহরণে
মুহূর্তেই মিলিয়ে যায় জীবন মরণের রসায়ন,
জাগতিক সুখ দুঃখ লেনাদেনা শূণ্য আজিকে
ভবলীলার মিথ্যা মোহের দুঃসহ মূল্যায়নে।

চির শাশ্বত মৃত্যুই যদি শেষ কথা হবে
তবে কেন এই সংসার মায়ার বাঁধন বৃথা ছলনা,
আঁকড়ে ধরার আপ্রাণ প্রয়াসে অহংবোধের ভাবনা
শত্রু মিত্র সবই বিলীন চিতার শয়নে ভবমায়া ফেলনা ।

সুরূপ কুরূপ অর্থ অনর্থ মিথ্যা ফাঁকির বোঝা
মান অভিমান একার জগৎ আসলে ক্ষণিক মজা,
মৃত্যুই খেলে শেষ তিন পাত্তি শরীরের সাথে ছলাকলা
জীবন তুমি রংবাহারি মিথ্যা ফানুস সাজা।

আড়ি ভাবের নিত্য খেলায় আমরা হারাই প্রিয়জন
মৃত্যু আসে ছলনাময়ীর বেশে নিশ্চুপ এক লহমায়,
মৃত্যু যদি শেষ কথা হবে তবে প্রেম দিলে কেন??
মিছে লীলায় মত্ত মোরা যবনিকা ভয়াল গরিমায়।

বিভাগ —গদ্য কবিতা,শিরোনাম —”মৃত্যু শীতল বুড়ি”কলমে —সুমা আইচ হাজরা ।এক সকালে তোমাকে দেখলাম মৃত্যু শীতল বুড়িঅবগুন্ঠনে কালো আবরণে মুখ লুকিয়ে দাঁড়িয়ে,আর অপেক্ষায় প্রহর গুনছো কখন নেবে ছিনিয়েপ্রাণাধিক প্রিয় মানুষটাকে ইহলোকের মায়া ছাড়িয়ে।তোমার অদৃশ্য উপস্থিতির ভয়ংকর অজানা শিহরণেমুহূর্তেই মিলিয়ে যায় জীবন মরণের রসায়ন,জাগতিক সুখ দুঃখ লেনাদেনা শূণ্য আজিকেভবলীলার মিথ্যা মোহের দুঃসহ মূল্যায়নে।চির শাশ্বত মৃত্যুই যদি শেষ কথা হবেতবে কেন এই সংসার মায়ার বাঁধন বৃথা ছলনা,আঁকড়ে ধরার আপ্রাণ প্রয়াসে অহংবোধের ভাবনাশত্রু মিত্র সবই বিলীন চিতার শয়নে ভবমায়া ফেলনা ।সুরূপ কুরূপ অর্থ অনর্থ মিথ্যা ফাঁকির বোঝামান অভিমান একার জগৎ আসলে ক্ষণিক মজা,মৃত্যুই খেলে শেষ তিন পাত্তি শরীরের সাথে ছলাকলাজীবন তুমি রংবাহারি মিথ্যা ফানুস সাজা।আড়ি ভাবের নিত্য খেলায় আমরা হারাই প্রিয়জনমৃত্যু আসে ছলনাময়ীর বেশে নিশ্চুপ এক লহমায়,মৃত্যু যদি শেষ কথা হবে তবে প্রেম দিলে কেন??মিছে লীলায় মত্ত মোরা যবনিকা ভয়াল গরিমায়।

জ্ঞান জ্যোতি সাহিত্য পরিবারের পক্ষ থেকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাই।

শকুন্তলা পত্রিকা

বিভাগ —গদ্য কবিতা,
শিরোনাম —”এক প্রেমিকের কল্পনা”
কলমে —সুমা আইচ হাজরা,

অশালীন প্রেম নাকি মাতলামি,
যমুনা, অববাহিকা, মোহনা…..
নাকি আর কিছু ??
হতে পারে তোমার অভিমানী বুক এর বিন্দু বিসর্গ মানে না।
কিন্তু আমি যে তোমাতেই উদ্ভ্রান্ত,
সেই আদিম কাল থেকেই ,
নিয়ে যাও আমাকে তোমার হৃদয়ের খোলা আকাশের নীচে—
মেঘের ভেলায় ভেসে ভেসে এক চরম সর্বনাশে,
যেখানে হাতে হাত রেখে,
তোমার কপালে পড়িয়ে দেব —
চাঁদনীর কলঙ্ক হীন টিকা,
কিংবা বিষুব রেখা ধরে…..
হাঁটতে হাঁটতে
পৃথিবী পেরিয়ে যাবো।
উৎসুক তারাদের ফাঁকি দিয়ে,
তোমার সাথে মধুচন্দ্রিমায় যাবো সুদূর নীহারিকায়।
কখনও বা ষোড়শী রাত কে নিস্তব্ধ করে,
কল্পবিলাসে আমরা পাহাড়ি অববাহিকা ধরে এগিয়ে যাবো…..
সমতলের সন্ধানে।
কখনো বা আমার ভালোবাসা দিয়ে তোমাকে শান্ত করে দেব নারী।
তোমার শরীরি বিভঙ্গের খাঁজে খাঁজে এঁকে দেব ছাতিমের সুগন্ধি গোধূলি বিলাস।
সাতরঙা রামধনুর এই প্রেমালু মোহনায়
অবগাহনের আশ্বাস যদি দাও —
তবে থৈ থৈ অতল ঘোলাটে জলে,
আমি আমার প্রেমের নিবেদনে তোমাকে সার্থক করে তুলবো।

Design a site like this with WordPress.com
Get started